জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

জায়েদ খান ২০০৮ সালে মহম্মদ হান্নান পরিচালিত ভালবাসা ভালবাসা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করলেও তার চলচ্চিত্রে আধিপাত্য, চলচ্চিত্র সংখ্যা, অভিনীত চলচ্চিত্রের মান এবং তার নিজের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা আছে। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার যোগ্যতা এবং চলচ্চিত্রের সাথে সংশ্লিষ্টতা তার সাধারণ সম্পাদক পদকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়।

জায়েদ খান বিতর্ক বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসলেও সম্প্রতি পরীমনি ইস্যুতে তা আবার সামনে আসে। পরীমনিরও সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্হগিত করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এছাড়াও গত তিনবছরে সর্বমোট ১৮৪ জন অভিনয় শিল্পীর ভোটাধিকার স্হগিত করে রেখেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে বিরোধের জেরেই বেশীরভাগকে সদস্যপদ খোয়াতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
যার বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং শিল্পীদের অভিযোগের শেষ নেই সেই জায়েদ খানকেই সম্প্রীতি পরীমনি ইস্যুতে বলে শোনা যায় – “একটা দুইটা শিল্পীর জন্য যদি শিল্পী সমাজের মানহানি হয় সেটি মেনে নেয়া যায় না”। শিল্পী সমিতির নামে টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে।
কথিত আছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জায়েদ খান এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের কারণ প্রভাব খাটিয়ে নিজ জেলা পটুয়াখালিতে একটি বাড়ি দখল।
যদিও জায়েদ খান তার বিরুদ্ধে আনিত সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে অভিমত দিয়েছেন। তবে সাধারণ শিল্পীদের দাবী যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে প্রশাসন যথাযত ব্যবস্থা নিবে।